এই ম্যাচটা খেলতে নামার আগে ইস্টবেঙ্গল এএফসি চ্যালেঞ্জ লিগে পরপর তিনটে ম্যাচ অপরাজিত থেকে খেলতে নেমেছিল। ২৬ অক্টোবর ভুটানের পারো এফসির বিরুদ্ধে ২-২ গোলে ড্র, ২৯ অক্টোবর বাংলাদেশের বসুন্ধরা কিংসের বিরুদ্ধে ৪-০ গোলে জয়, এর পর ১ নভেম্বর ঘরের মাঠে নেজমেহ এফসি-কে ৩-২ গোলে পরাস্ত করেছিল তারা। কিন্তু যুবভারতীতে বর্ণহীন ফুটবল খেলল লাল-হলুদ। যার খেসারত তাদের ম্যাচ হেরে দিতে হল।
খেলা শেষ, হারল ইস্টবেঙ্গল
খেলা শেষ। গোলের মুখ খুলতে ব্যর্থ ইস্টবেঙ্গল। এদিন বর্ণহীন ফুটবল খেলল অস্কার ব্রুজোর দল। যার নিটফল, ০-১ হারল লাল-হলুদ বাহিনী। ম্যাচের ১০ মিনিটে যে গোল হয়েছিল, সেটি শোধ করে উঠতে পারল না ইস্টবেঙ্গল। তবে আর্কাদাগও এর পর আর কোনও গোল করতে পারেনি।
ছয় মিনিট ইনজুরি টাইম
ছয় মিনিট ইনজুরি টাইম দেওয়া হয়েছে। ইস্টবেঙ্গল এখনও ০-১ পিছিয়ে। সমতা অন্তত ফেরাতে পারবে তারা?
দু'দলের প্লেয়ারদের ঝামেলা
৮৮ মিনিট: মেসি বাউলি বল নিয়ে উপরে ওঠার সময়ে বিপক্ষের প্লেয়ার তাঁকে পাউল করেন, তার পর নিজে পড়ে গিয়ে চোট লাগার অভিনয় করেন। এর পরেই দু'দলের ফুটবলারদের মধ্যে ঝামেলা শুরু হয়। ধাক্কাধাক্কি শুরু করে দু'দলের প্লেয়াররা। এর পরেই যুবভারতী উত্তপ্ত হয়ে ওঠে। রেফারি অবশ্য পরে বিপক্ষের প্লেয়ারকেই হলুদকার্ড দেখান।
ইস্টবেঙ্গল প্রচেষ্টা, ভালো সেভ আর্কাদাগের কিপারের
৮০ মিনিট: ইস্টবেঙ্গলের আরও একটি ভালো ক্রস। কিন্তু চারিয়েভ বাঁচিয়ে নিল। গোলরক্ষক সময় মতো তাঁর জায়গা থেকে বেরিয়ে আসে এবং দৃঢ় প্রত্যয়ের সাথে বলটি বিপদ মুক্ত করেন।
সমতা ফেরানোর সুযোগ নষ্ট
৭১ মিনিট: ইস্টবেঙ্গলের কাছে সমতা ফেরানোর বড় সুযোগ ছিল। বলটি ক্রেসপো পেয়ে উপরে উঠতে শুরু করেন। এবং তিনি গোল লক্ষ্য করে শট নেন। তবে আর্কাদাগের এক ডিফেন্ডার বলটি বাঁচানোর চেষ্টা করেন। তবে ফিরতি বল পেয়ে ফের গোলের সুযোগ পান ইস্টবেঙ্গল অধিনায়ক। কিন্তু এবারও হল না গোল।
সেলিসকে ফাউল, তবু কার্ড দেখাল না রেফারি
৭০ মিনিট: বাল্লাকভ মাঠে নেমেই সেলিসকে মাটিতে টেনে ফেলে দেন। তবে রেফারি কোনও কার্ড দেখাল না। এই নিয়ে তীব্র ক্ষোভ লাল-হলুদে।
জোড়া পরিবর্তন আর্কাদাগের
৬৭ মিনিট: জোড়া পরিবর্তন করল আর্কাদাগ। বাল্লাকভ এবং হায়দারভ নামলেন। উঠে গেলেন দিদার এবং আখামেদভ।
প্রায় গোল হয়ে গিয়েছিল
৬০ মিনিট: বক্সের মধ্যে একটি ভাসানো বল পান আর্কাদাগের অধিনায়ক বাশিমভ। তিনি আবার বক্সের ভিতরের একজন খেলোয়াড়কে পাস বাড়ানোর চেষ্টা করেন। এক ডিফেন্ডার বলটি পেয়ে লক্ষ্যে মারার চেষ্টা করেন। গিলও কিছু করতে পারেনি। তবে ইস্টবেঙ্গলের ভাগ্য ভালো ক্রসবারে লাগে বলটি।
হলদুকার্ড দেখলেন হেক্টর ইউস্তে
৫৭ মিনিট: গোলস্কোরার গুরবানভকে আটকাতে যান হেক্টর ইউস্তে। তিনি ট্যাকেল করতে গিয়ে তিনি ফাউল করে বসেন। চোট পেয়ে গুরবানভ মাঠে গড়াগড়ি খাচ্ছেন। ইস্টবেঙ্গল ডিফেন্ডারকে হলুদ কার্ড দেখান রেফারি।
বক্সের বাইরে হ্যান্ডবল?
৫৪ মিনিট: লাল-হলুদ কিপার তাঁর জায়গা থেকে বেরিয়ে আসে এবং আর্কাদাগের প্লেয়ার শট নিয়ে গেলে তা গিলের হাত সামান্য স্পর্শ করে। যাইহোক, এটির রিপ্লেতে দেখা যাচ্ছে, ভারতীয় কিপার সেই মুহূর্তে তাঁর হাত সরিয়ে নিচ্ছেন। রেফারিও ঘটনাটিকে বিশেষ গুরুত্ব দিল না।
প্রচেষ্টা মাঠে মারা গেল
৫৩ মিনিট: রাকিপ ও সেলিসের মধ্যে ওয়ান-টু দিয়ে মুভের শুরুটা ভালো হয়েছিল, কিন্তু বক্সের ভিতরে গিয়ে তারা খেই হারিয়ে ফেলেন তাঁরা। তাই আর কোনও সুযোগ তৈরি হল না।
দ্বিতীয়ার্ধের খেলা শুরু
দ্বিতীয়ার্ধের খেলা শুরু হয়ে গেল। ইস্টবেঙ্গল কি পারবে গোলশোধ করার পর লিড নিতে? প্রথমার্ধে লাল-হলুদের খেলা হতাশাজনক ছিল। দ্বিতীয়ার্ধে মরিয়া হয়ে থাকার কথা তাদের। জ্বলে উঠবে ইস্টবেঙ্গল?
বিরতি
০-১ পিছিয়েই বিরতিতে গেল ইস্টবেঙ্গল। প্রথমার্ধে খুব খারাপ খেলেছে তারা। খুবই ম্যাড়ম্যাড়ে ফুটবল খেলছে তারা। দ্বিতীয়ার্ধের শুরুতে গোলশোধ করতে না পারলে কপালে দুঃখ আছে লাল-হলুদের।
ভালো সেভ গিলের
গুরবানভ হেডে একটি গোল করার চেষ্টা করেছিলেন। কিন্তু প্রভসুখন গিল বলটি ভালো ভাবে সেভ করেন। বিরতির ঠিক আগে আর অঘটন ঘটতে দেন লাল-হলুদ কিপার।
গোলের সুযোগ আর্কাদাগের
৪৩ মিনিট: গুরবানভ একটি বাঁকানো নিখুঁত ক্রস বাড়ান আকমামেদভকে। তিনি বাঁ-পা বাড়িয়েছিলেন গোলের জন্যায। কিন্তু নেটের পাশ ঘেষে বলটি বেরিয়ে যায়। তবে আর্কাদাগের এটি একটি ভালো প্রয়াস।
পরপর ২টি কর্নার নষ্ট
৪০ মিনিট: ইস্টবেঙ্গল পরপর ২টি কর্নার পেল। কিন্তু কোনওটাই কাজে লাগাতে পারল না। লাল-হলুদ গোলের সন্ধান করলে কী হবে, তাদের মধ্যে সেই আগ্রাসী ভাবটা উধাও। বিশেষ করে গোল খেয়ে যাওয়ার পর। তারা এখন একটি সুযোগের অপেক্ষায় রয়েছে।
ম্যাড়ম্যাড়ে ফুটবল ইস্টবেঙ্গলের…
৩৬ মিনিট: ইস্টবেঙ্গল একেবারে ছন্দহীন। ম্যাড়ম্যাড়ে লাগছে তাদের ফুটবল। গ্রুপ পর্বে যে আক্রমণাত্মক ভাব দেখা গিয়েছিল, যেভাবে আধিপত্য তারা বিস্তার করেছিল এবং যে লড়াকু অভিপ্রায় দেখা গিয়েছিল, এই ম্যাচে এখনও পর্যন্ত এই সব কিছু মিসিং। মাদিহ তালালের অনুপস্থিতি কি পার্থক্য গড়ে দিয়েছে?
গোলের খোঁজে ইস্টবেঙ্গল
৩০ মিনিট: ইস্টবেঙ্গল যত বার বল নিয়ে উপরে উঠছে, যুবভারতী গর্জে উঠছএ। কিন্তু ইস্টবেঙ্গল এখনও তাঁর সমর্থকদের আশা পূরণ করতে পারেননি। তারা এখনও গোলের মুখ খুলতে পারেনি। ম্যাচের সময় আধঘণ্টা পার হয়ে গেল। ভারতীয় দল এখনও গোলে বল রাখতে পারেনি। কী হবে খেলার ফল?
মেসি বাউলির ভালো মুভ
২৭ মিনিট: মহেশ ফ্রি-কিক নেন। তিনি বক্সের ভিতর বল ভাসালে মেসি বাউলি ভালো মুভ করেন। তিনি মাথায় বল ছুঁয়ে জালে জড়াতে চান। কিন্তু গোল অধরা। আর্কাদাগের কিপার চারিয়েভ বল ধরে ফেলেন। এখনও ০-১ পিছিয়ে ইস্টবেঙ্গল।
ইস্টবেঙ্গল প্রথম বড় একটি সুযোগ পেল
২১ মিনিট: লালচুংনুঙ্গা ক্রস বাড়ান বক্সের ভিতরে থাকা দিয়ামান্তাকোসকে। কিন্তু আর্কাদাগ গোলরক্ষক চারিয়েভ বলটি কোনও মতে পাঞ্চ করে কোনও মতে বিপদ মুক্ত করেন দলকে। হতাশ ইস্টবেঙ্গল কোচ অস্কার ব্রুজো।
ফ্রি-কিকের সুযোগ নষ্ট
১৩ মিনিট: সুযোগ নষ্ট লাল-হলুদের। ইস্টবেঙ্গল অধিনায়ক সাউল ক্রেসপো ফ্রি-কিক নেন। কিন্তু কোনও লাভ হয়নি তাতে। বাঁকানো একটি শট নিয়েছিলেন ক্রেসপো, তবে বলটি ধরে নেন প্রতিপক্ষের কিপার। গোলের মুখ খোলেনি। এখনও ০-১ পিছিয়ে ইস্টবেঙ্গল।
গোওওওওলললল…. ১-০ এগিয়ে গেল আর্কাদাগ
১০ মিনিট: শুরুতেই বড় ধাক্কা খেল ইস্টবেঙ্গল। এফকে আর্কাদাগ লিড নিল। ইয়াজগিলিচ গুরবানভ বক্সের ঠিক বাইরে বল পান এবং ইস্টবেঙ্গল ডিফেন্ডারদের বুড়ো আঙুল দেখিয়ে প্রভসুখন গিলকে পাশ কাটিয়ে জালে জড়ান। হেক্টর ইউস্তে বলটি ক্লিয়ার করতে ব্যর্থ হন। যার খেসারত গোল হজম করে ইস্টবেঙ্গলতে দিতে হল। খারাপ শুরু লাল-হলুদের জন্য।
শুরুতেই আগ্রাসী ফুটবল
৫ মিনিট: আর্কাদাগ এবং ইস্টবেঙ্গল- দুই দলই আগ্রাসী ফুটবল খেলতে শুরু করেছে। রিচার্ড সেলিস এবং মেসি বাউলিরা আক্রমণে ওঠার জন্য মরিয়া। তবে শুরুতেই কেউ কোনও গোল আপাতত পাইনি।
খেলা শুরু
ইস্টবেঙ্গল-এফকে আর্কাদাগের ম্যাচ শুরু। আইএসএলের প্লে-অফে ওঠার কোনও সম্ভাবনা নেই। তাই এএফসি চ্যালেঞ্জ লিগই লক্ষ্য লাল-হলুদের। তারা আজ পারবে ঘরের মাঠে তুর্কমেনিস্তানের দলকে হারাতে?
ইস্টবেঙ্গলের একাদশ
জরিমানার কবলে লাল-হলুদ
এএফসি চ্যালেঞ্জ লিগে নামার আগেই ধাক্কা খেল ইস্টবেঙ্গল। তবে মাঠের বাইরে সমস্যায় পড়েছে তারা। এএফসি-র নিয়মভঙ্গের কারণে আর্থিক জরিমানা করা হয়েছে তাদের। এএফসি-র নিয়ম অনুযায়ী, তাদের প্রতিযোগিতা চলাকালীন আয়োজক স্টেডিয়ামে অন্য কোনও প্রতিযোগিতার বিপণন করা যায় না। অর্থাৎ অন্য কোনও প্রতিযোগিতার সাইনবোর্ড, বিজ্ঞাপন কিছুই প্রকাশ্যে আনা যাবে না। সেই নিয়মই ভঙ্গ করেছে ইস্টবেঙ্গল।আইএসএলে ইস্টবেঙ্গল এবং মোহনবাগান দুই দলই খেলে যুবভারতীতে। ফলে গোটা স্টেডিয়ামেই আইএসএলের প্রচুর সাইনবোর্ড, বিলবোর্ড, বিজ্ঞাপন রয়েছে। তবে এএফসি-র ম্যাচ আয়োজনের আগে ইস্টবেঙ্গল সেগুলি খুলে ফেলার বদলে কালো কাপড়ে ঢেকে রেখেছিল। মঙ্গলবার দলের অনুশীলনেই তা দেখা গিয়েছে। সমস্যা বেধেছে তা নিয়েই। প্রবল হাওয়ায় সেই কাপড় সরে গিয়ে আইএসএলের সাইনবোর্ড প্রকাশ্যে চলে এসেছে। মাঠ পরিদর্শন করতে এসে তা চোখে পড়ে এএফসি-র ম্যাচ কমিশনারের। সঙ্গে সঙ্গে ইস্টবেঙ্গলকে কয়েক লক্ষ টাকা জরিমানা করেন তিনি। ফলে চ্যালেঞ্জ লিগে খেলতে নামার আগেই আর্থিক ক্ষতির মুখে ইস্টবেঙ্গল।
ছয় বিদেশি খেলাবেন ইস্টবেঙ্গল কোচ?
সাউল ক্রেসপো সুস্থ হয়ে উঠেছেন। তবে এই মুহূর্তে চোটের কবলে রয়েছেন আনোয়ার আলি। তাঁকে আর্কাদাগের বিরুদ্ধে পাচ্ছেন না অস্কার। আর এক বিদেশি ক্লেটন সিলভাও সুস্থ হয়ে উঠেছেন। যেহেতু এএফসি-তে একাধিক বিদেশি খেলানো যায়, তাই আজ ছয় বিদেশিকেই খেলাতে পারেন অস্কার।
কতটা শক্তিশালী প্রতিপক্ষ লাল-হলুদের?
তুর্কমেনিস্তানের এফকে আর্কাদাগ বয়সে একেবারেই নবীন। মাত্র দু’বছর হয়েছে তাদের বয়স। কিন্তু এরই মধ্যে তাদের সাফল্য নজর কাড়া। দু’বার ঘরোয়া লিগ চ্যাম্পিয়ন। একবার সুপার কাপ। একঝাঁক জাতীয় দলের ফুটবলার রয়েছে দলে। একজনও বিদেশি ফুটবলার না থাকলেও, দু’জন ফুটবলারের দ্বৈত নাগরিকত্ব রয়েছে। এমন একটা দলের বিরুদ্ধে কোয়ার্টার ফাইনালের হোম ম্যাচ খেলতে নামতে হচ্ছে ইস্টবেঙ্গলকে। তার উপর তুর্কমেনিস্তানে সদ্য নতুন মরশুম শুরু হয়েছে। এখানে আসার আগে দুবাইতে এক সপ্তাহের বেশি সময় ধরে প্রস্তুতি নিয়ে এসেছে দলটি। গত মরশুমে ঘরোয়া লিগে ৩০ ম্যাচে ১৪৭ গোল করেছে তুর্কমেনিস্তানের এই দলটি। এএফসি চ্যালেঞ্জ লিগের লিগ পর্বে একটি মাত্র ম্যাচে কুয়েতের আল আরাবির কাছে হেরেছে তারা। দলের তারকা ফুটবলার স্ট্রাইকার দিদার দুর্দেউ। মাঝমাঠে রয়েছেন দলের নির্ভরযোগ্য আমানোভ। তিনি আবার অধিনায়কও।
আত্মবিশ্বাসী লাল-হলুদ
আইএসএলের শুরুটা ভালো হয়নি। প্লে অফেও জায়গা হয়নি। কিন্তু শেষ সাতটা ম্যাচের মধ্যে ইস্টবেঙ্গল হেরেছে মাত্র একটি ম্যাচে। জয় পেয়েছে চারটি ম্যাচে। আর ড্র করেছে দু'টি ম্যাচ। এই তথ্যই যেন আজ এএফসি চ্যালেঞ্জ লিগের কোয়ার্টার ফাইনালে নামার আগে আত্মবিশ্বাস জোগাচ্ছে লাল-হলুদ কোচ অস্কার ব্রুজোর টিমকে।
রোহিতদের প্রস্তুতির রোজনামচা, পাল্লা ভারি কোন দলের, ক্রিকেট বিশ্বকাপের বিস্তারিত কভারেজ, সঙ্গে প্রতিটি ম্যাচের লাইভ স্কোরকার্ড । দুই প্রধানের টাটকা খবর, ছেত্রীরা কী করল, মেসি থেকে মোরিনহো, ফুটবলের সব আপডেট পড়ুন এখানে।