রবিবার কলকাতা নাইট রাইডার্সের অধিনায়ক অজিঙ্কা রাহানে স্বীকার করে নিয়েছেন যে, ২০২৫ সালের আইপিএলে তাঁর দলের বোলিং দুর্দান্ত ছিল, কিন্তু ব্যাটসম্যানদের পারফরম্যান্স ছিল হতাশাজনক। রবিবার (২৭ মে) সানরাইজার্স হায়দরাবাদের কাছে ১১০ রানের লজ্জাজনক পরাজয়ের পর রাহানে বলেন, ‘এই মরশুমটি আমাদের জন্য উত্থান-পতনে ভরা ছিল। আমাদের সুযোগ ছিল, কিন্তু দল হিসেবে আমরা ভালো খেলতে পারিনি। যদি খুব কম ব্যবধানের ম্যাচও জিততে পারা যা, তাহলে সেটা একটা পার্থক্য তৈরি করে দেয়।’
অল্পের জন্য ম্যাচ হাতছাড়া করার ফল পেয়েছে
কেকেআর অধিনায়ক সঙ্গে যোগ করেছেন, ‘পঞ্জাব কিংস, লখনউ সুপার জায়ান্টস এবং চেন্নাই সুপার কিংসের বিরুদ্ধে ম্যাচগুলো একটু আলাদা ছিল। অধিনায়ক হিসেবে আমি দেখেছি যে, সবাই তাদের সেরাটা দেওয়ার চেষ্টা করেছে। ডিফেন্ডিং চ্যাম্পিয়ন হিসেবে মরশুম শুরু করা কখনও-ই সহজ নয় কারণ প্রত্যাশা অনেক বেশি থাকে।’
প্রসঙ্গত, পঞ্জাব কিংসের বিরুদ্ধে প্রথম ম্যাচে মাত্র ১১২ রান তাড়া করতে নেমে ১৬ রানে ম্যাচটি হেরেছিল কেকেআর। লখনউ সুপার জায়ান্টসের বিরুদ্ধে মাত্র ৪ রানে হেরেছিল। ঘরের মাঠে চেন্নাই সুপার বিরুদ্ধে ম্যাচে কেকেআর একটা সময়ে জেতার মতো জায়গায় থাকা অবস্থা থেরে, শেষ ওভারে গিয়ে ২ বল বাকি থাকতে ২ উইকেটে হেরেছিল।
রাহানে বলেছেন, ‘আমি শুধু এটুকুই বলতে পারি যে, আমরা আমাদের সেরাটা দেওয়ার চেষ্টা করেছি এবং অবশ্যই আমরা পরের বছর শক্তিশালী প্রত্যাবর্তন করব।’
আরও পড়ুন: ভালো পারফরম্যান্স করার পরেও কেন বাদ শ্রেয়স? আগরকরের সাফ দাবি, ‘ওর কোন জায়গা নেই’
বেঙ্কটেশের পাশে দাঁড়িয়েছেন রাহানে
টুর্নামেন্টের শুরু থেকেই, স্পটলাইটটি বেঙ্কটেশ আইয়ারের উপর ছিল, যখন থেকে কেকেআর আইপিএল নিলামে ২৩.৭৫ কোটি টাকা ব্যয় করে তাঁকে প্রাথমিক ভাবে ছেড়ে দেওয়ার পরে, ফের সেটআপে ফিরিয়ে আনে এবং তাঁকে দলের সহ-অধিনায়ক হিসেবেও ঘোষণা করা হয়। তবে, এই মরশুমে তিনি চূড়ান্ত নিরাশ করেন। তিনি এবার কেকেআরের হয়ে ১১ ম্যাচে মাত্র ১৪২ রান করতে পেরেছেন।
এই প্রসঙ্গে রাহানের দাবি, ‘দেখুন, আমি এটা বলতে পারি যে, একজন খেলোয়াড়কে ২০ কোটি টাকায় কেনা হোক বা ২ কোটি টাকায়, মাঠের ভিতরে তাঁর আচরণ বদলায় না। আমি মনে করি না যে, আইয়ারের সঙ্গে এমন কিছু ঘটেছে।’
সঙ্গে তাঁর সংযোগ, ‘বেঙ্কটেশ আইয়ার সঠিক জিনিসের উপরেই নিজের মনোযোগ দিয়েছে। ও কঠোর অনুশীলন করেছে। ম্যাচের সময় ও নিবেদিতপ্রাণ ছিল এবং অবদান রাখার চেষ্টা করেছে। ওর আচরণ ছিল চমৎকার। যে কোনও খেলোয়াড়েরই খারাপ মরশু যেতে পারে। এটা টাকার চাপ বা দামের ব্যাপার নয়, বরং ফর্ম এবং দলের সমন্বয়ের ব্যাপার। দুর্ভাগ্যবশত, আমাদের জন্য, তিন-চারজন খেলোয়াড় একসঙ্গে ফর্মে ছিল না এবং এটি একটি বড় পার্থক্য তৈরি করে দিয়েছে।’