হিন্দুশাস্ত্রের রীতি মেনে প্রতি বছর জ্যৈষ্ঠ মাসের অমাবস্যা তিথিতে পালিত হয় ফলহারিণী অমাবস্যা। বিশ্বাস করা হয়, এই তিথিতে দেবী শক্তি, সমস্ত অশুভ ফল হরণ করে, প্রদান করেন শুভ ফল। সেই দিক থেকে জ্যৈষ্ঠ মাসের অমাবস্যাকে বলা হয় ফলহারিণী অমাবস্যা। তাই এই তিথিতে দেবী কালীর পুজো করলে অশুভ ফল নাশ হয় বলে মান্যতা রয়েছে শাস্ত্রমতে।
এদিকে, এই ফলহারিণী অমাবস্যা কবে পড়ছে, সেই তারিখ নিয়ে কিছুটা কৌতূহল রয়েছে। শুধু তারিখই নয়। পঞ্জিকা মতে কখন থেকে এই অমাবস্যা তিথি পড়ছে, তা নিয়েও রয়েছে প্রশ্ন। দেখে নেওয়া যাক, সোমবার ফলহারিণী অমাবস্যা কখন থেকে পড়ছে। কতক্ষণ থাকবে এই তিথি।
ফলহারিণী অমাবস্যা কখন পড়ছে?
বিশুদ্ধ সিদ্ধান্ত পঞ্জিকা অনুসারে, অমাবস্যা তিথি গত ২৬ মে ২০২৫ সোমবার পড়ছে। সেদিন দুপুর ১২ টা ১৩ মিনিট থেকে পড়ছে তিথি। অমাবস্যা তিথির অবসান হবে ২৭ মে, ২০২৫ সালে। বিশুদ্ধ সিদ্ধান্ত পঞ্জিকামতে, সেদিন মঙ্গলবার সকাল ৮ টা ৩২ মিনিটে এই অমাবস্যার তিথি শেষ হচ্ছে। গুপ্তপ্রেস পঞ্জিকামতে, ২০২৫ ফলহারিণী অমাবস্যা সোমবার ২৬ মে ২০২৫ সালে পড়ছে। সেদিন সকাল ১১ টা ৭ মিনিটে পড়ছে এই তিথি। অমাবস্যা তিথির অবসান, ২৭ মে মঙ্গলবার। সেদিন সকাল ৮ টা ৪৪ মিনিটে শেষ হবে তিথি।
( আমেরিকায় ধৃত ২ পাকিস্তানি, রয়েছে কোন অভিযোগ? মুখ খুললেন FBI চিফ কাশ প্যাটেল)
( পাকিস্তানে শেরিফের সরকার ‘পুতুল’, কথা হতে পারে ‘আসল ক্ষমতায় থাকা…’, কোন ইঙ্গিত ইমরানের?)
১০ পাপ থেকে মুক্তি:-
কথিত রয়েছে, জ্যৈষ্ঠ মাসের ফলহারিণী অমাবস্যায় ১০ পাপ থেকে মুক্তি পাওয়া যায় বলে মনে করা হয়। এই দিনে ব্রহ্ম মুহূর্তে গঙ্গাস্নানে পাপমুক্তি হয় বলে মনে করা হয়। শাস্ত্রে ১০ ধরণের পাপের কথা বলা হয়েছে যা শারীরিক, মৌখিক এবং মানসিক। শারীরিক পাপকে বলা হয় শারীরিক পাপ যেমন কিছু চুরি করা, সহিংসতা এবং ব্যভিচার। কথার মাধ্যমে সংঘটিত পাপকে মৌখিক পাপ বলা হয়। অন্যদিকে মানসিক পাপ হলো সেইসব পাপ যা মনের দ্বারা সংঘটিত হয়। যেমন মনে মনে কারো সম্পর্কে খারাপ ধারণা করা, কোন মিথ্যাচারে জড়িয়ে পড়া অথবা কোন সম্পদ বা সম্পত্তি আত্মসাৎ করার চিন্তা করা।
ফলহারিণী অমাবস্যায় পুজোর পদ্ধতি:-
এই দিনের পুজোয় দেবীকে মরশুমি ফল দিয়ে পুজো দেওয়ার রীতি রয়েছে। বহু পীঠস্থানে এদিন দেবীকে ফুলের বদলে ফল দিয়ে সাজানো হয়। মূলত, এদিন দেবীকে সবচেয়ে প্রিয় ফল নিবেদন করা হয়। আর এক বছর সেই ফল না খাওয়ার রীতি রয়েছে। এক বছরের মধ্যে মনস্কামনা পূরণ হলে প্রসাদী ফল গঙ্গায় ভাসিয়ে দেওয়ার রীতি রয়েছে।