দক্ষিণ দিনাজপুরের বালুরঘাটে এক বিজেপি নেতার বাড়ি নিয়ে তৈরি হয়েছে বিতর্ক। অভিযোগ উঠেছে, তিনি অনুমতি না নিয়ে বাড়ি সম্প্রসারণের জন্য নির্মাণকাজ করেছেন। বালুরঘাট পুরসভা আগেই তাঁকে প্রয়োজনীয় কাগজপত্র দেখানোর জন্য চিঠি দিয়েছিল। কিন্তু, কোনও উত্তর না দেওয়ায় এবার তাঁকে শো-কজ নোটিশ পাঠাল পুরসভা। পাশাপাশি ভবনের কিছু অংশ ভাঙার নির্দেশও দেওয়া হয়েছে। অভিযোগ, নির্মাণ কাজ বন্ধ রাখার নির্দেশ থাকলেও ওই পদ্মনেতা তা মানেননি। এখন বাড়ি ভাঙার বিষয়ে কারণ জানাতে বলা হয়েছে। যদিও বিজেপি নেতা এই অভিযোগ মানতে নারাজ।
আরও পড়ুন: মমতার মন্তব্যের প্রতিবাদে বিক্ষোভ, সরাতে গিয়ে মহিলা পুলিশদের সিঁদুর পরাল বিজেপি
জানা গিয়েছে, ওই বিজেপি নেতা হলেন পিন্টু সরকার। তিনি জানিয়েছেন, বাড়িটি আগে অন্য কারও মালিকানাধীন ছিল। পরে বাড়িটি তাঁরা বাবার নামে ও তারপর তাঁর নামে হয়। তিনি জানান, সরকারি কাগজপত্র পেতে গেলে কিছুটা সময় লাগে। সেই কারণে তিনি পুরসভার কাছে সময় চেয়েছেন এবং চিঠিও দিয়েছেন। এ বিষয়ে পুরসভার চেয়ারম্যান অশোক মিত্র জানান, নথি জমা দেওয়ার জন্য আগেই নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল। তদন্তে দেখা গিয়েছে, অনুমতি ছাড়া নির্মাণ কাজ চলছে। সেই কাজ বন্ধ রাখার নির্দেশ থাকা সত্ত্বেও তা মানা হয়নি। তাই শোকজ করা হয়েছে।
জানা যাচ্ছে, বালুরঘাট শহরের ১৭ নম্বর ওয়ার্ডের সাহেব কাছারি এলাকায় অবস্থিত এই বাড়িটি। বাড়ির মালিক পিন্টু সরকার হলেন বিজেপির জেলা সহ-সভাপতি। এই অভিযোগ ওঠার পরেই এলাকায় শুরু হয়ে রাজনৈতিক চাপানউতোর। বিজেপির জেলা সভাপতি স্বরূপ চৌধুরী বলছেন, রাজনৈতিক কারণে নেতাদের ওপর হয়রানি করা হচ্ছে।
তবে পুরসভা চেয়ারম্যান বলছেন, অবৈধ নির্মাণ কোনওভাবেই বরদাস্ত করা হবে না। এখানে কোনও রাজনৈতিক দিক নেই। প্রতিনিয়ত অবৈধ নির্মাণের বিরুদ্ধে অভিযান চলে। তিনি বলেন, ‘আমাদের নজরে এসেছে যে তিনি পুরসভার কাছে অনুমতি না নিয়েই বাড়ির একটি অংশ সম্প্রসারণ করেছেন। তাঁকে প্রয়োজনীয় কাগজপত্র দেখাতে এবং কাজ বন্ধ করতে বলা হয়েছিল। কিন্তু তিনি তা শোনেননি। সেই কারণেই আমরা তাঁকে শো-কজ চিঠি পাঠিয়েছি। কেন অবৈধ অংশটি ভেঙে ফেলা উচিত নয় তা জানতে চেয়েছি।’