Jammu-Kashmir Assembly Ruckus: ৩৭০ ধারা ইস্যুতে হাতাহাতি, কুস্তির আখড়ায় পরিণত জম্মু-কাশ্মীর বিধানসভা
2 মিনিটে পড়ুন . Updated: 07 Nov 2024, 12:46 PM IST
Share 
বাংলা নিউজ > ঘরে বাইরে > Jammu-Kashmir Assembly Ruckus: ৩৭০ ধারা ইস্যুতে হাতাহাতি, কুস্তির আখড়ায় পরিণত জম্মু-কাশ্মীর বিধানসভা
Share ৩৭০ ধারা ইস্যুতে ধুন্ধুমার কাণ্ড বাঁধল জম্মু ও কাশ্মীর বিধানসভায়। গতকাল ৩৭০ ধারা ফিরিয়ে আনতে প্রস্তাবনা পেশ করা হয়েছিল জম্মু ও কাশ্মীর বিধানসভায়। সেই সময় বিজেপি বিধায়কদের সঙ্গে হাতাহাতি শুরু হয় সজ্জাদ লোন, শেখ খুরশিদ এবং পিডিপি বিধায়কদের মধ্যে। সেই ঘটনার ভিডিয়ো ভাইরাল সোশ্যাল মিডিয়ায়। সেখানে দেখা যায়, বিধায়কদের হাতাহাতির জেরে উত্তপ্ত হয়ে ওঠা পরিস্থিতি সামলাতে হিমশিম খেতে হয় মার্শালদের। উল্লেখ্য, বারামুলার সাংসদ ইঞ্জিনিয়ার রশিদের ভাই তথা আওয়ামি ইত্তেহাদ পার্টির বিধায়ক শেখ খুরশিদ অনুচ্ছেদ ৩৭০-এর সমর্থনে একটি পোস্টার তুলে ধরেন গতকাল। এরপরই সেই পোস্টার নিয়ে আপত্তি জানায় বিজেপি। সেই থেকেই ঝামেলা শুরু হয়। পরে তা হাতাহাতিতে পরিণত হয়। (আরও পড়ুন: খলিস্তানিদের তাণ্ডবের আবহে নিজেদের 'অকর্মণ্য' প্রমাণ কানাডার, বড় পদক্ষেপ ভারতের)
আরও পড়ুন: ট্রাম্পকে হারাতে দিয়েছিলেন চাঁদা? US ভোটের ফল নিয়ে কী বললেন বাংলাদেশের ইউনুস?
এদিকে সজ্জাদ লোনের অভিযোগ, ৩৭০ ধারা ইস্যুতে বিজেপি বিধায়করা হামলা করেন শেখ খুরশিদের ওপর। তখন তিনি তাঁকে বাঁচাতে গিয়েছিলেন। আজ এই একই ইস্যুতে জম্মু ও কাশ্মীর বিধানসভায় এসে সজ্জাদ লোন বলেন, 'যদি তারা একটি রেজোলিউশন না আনে, তাহলে বুঝে নিতে হবে এটি একটি ফিক্সড ম্যাচ। তারা (ন্যাশনাল কনফারেন্স) একটি দুর্বল রেজল্যুশন নিয়ে এসেছে। আমরা এ জন্য বিধানসভায় আসিনি। খুরশিদ সাহেব এবং আমি একে অপরের বিরুদ্ধে লড়াই করেছি। কিন্তু যখন দেখলাম তিনি আক্রান্ত হচ্ছেন, তখন একজন কাশ্মীরি হিসাবে আমি নিজেকে আটকে রাখতে পারিনি। সেই সময় ন্যাশনাল কনফারেন্সের কোনও সদস্য কি খুরশিদ সাহেবকে বাঁচাতে এসেছিলেন?' (আরও পড়ুন: ট্রাম্প পত্নীকে নিয়ে 'কুরুচিকর মজা' সিংভির, 'সেক্স টেপ' নিয়ে খোঁচা তরুণজ্যোতির)
এদিকে গতকালকে বিধানসভায় এই ধুন্ধুমার কাণ্ড নিয়ে জম্মু ও কাশ্মীর ন্যাশনাল কনফারেন্সের মুখপাত্র শেখ বশির আহমেদ বলেন, 'প্রতিবাদ করা এবং পোস্টার দেখানো একটি অধিকার। বিধানসভার ভিতরে প্রতিবাদ করার কিছু নিয়ম আছে... হাউসের ওয়েলে প্রবেশ করা একধরনের প্রতিবাদ। কিন্তু আপনি যদি ডেস্কের উপরে উঠে পড়েন, তাহলে তাঁরা বিধায়ক হতে পারেন না। যখন আর কোনও বিকল্প থাকে না তখন এই ধরনের বিধায়কদের মার্শাল দিয়ে বের করে আনা হয়। আমরা ২০২৪ সালে বসবাস করছি এবং মতামতের পার্থক্য বিতর্কের মাধ্যমে সমাধান করা যেতে পারে।' (আরও পড়ুন: বাংলাদেশের হিন্দুদের ইস্যুতে ট্রাম্প কি এবার কিছু করবেন? সামনে এল বড় দাবি)
এদিকে পিডিপি বিধায়ক ওয়াহেদ-উর-রহমান পারা আজ ফের জম্মু ও কাশ্মীর বিধানসভায় ৩৭০ ধারা এবং ৩৫এ ধারা বাতিলের নিন্দা জানিয়ে একটি প্রস্তাব উত্থাপন করেছেন। তিনি বলেন, 'গতকালের প্রস্তাবনা (ন্যাশনাল কনফারেন্সের পক্ষ থেকে পেশ করা) অস্পষ্ট ছিল। জনগণের অনুভূতি এবং ক্ষোভের কথা মাথায় রেখে আমরা এর নিন্দা জানিয়েছি। এবং আমরা অনুচ্ছেদ ৩৭০, ৩৫এ ধারা এবং বিশেষ মর্যাদা ফিরিয়ে আনতে চাইছি। তাই আমরা এই নিয়ে নতুন প্রস্তাবনাটি পেশ করার জন্য ন্যাশনাল কনফারেন্সকে অনুরোধ করছি... উভয় পক্ষই (বিজেপি এবং ন্যাশনাল কনফারেন্স) গ্যালারির জন্যে খেলছে... দিল্লি থেকে অমিত মালব্য গতকাল সেই প্রস্তাবনার প্রশংসা করেছিলেন... আমরা চাই জনগণের অনুভূতি হাউসে প্রতিফলিত হোক।'
পরবর্তী খবর
