ট্যাংরায় ৩ জনের রহস্যমৃত্যু কাণ্ডের তদন্তে একের পর এক প্রশ্নের জবাব খুঁজছেন তদন্তকারীরা। এরই মাঝে প্রশ্ন উঠছে আরও এক ঘটনা নিয়ে। তা হল, দে পরিবারের আহত কিশোরের দেখভালের প্রশ্ন। ট্যাংরায় প্রণয়, প্রসূণ ও ওই কিশোরের আহত হওয়ার পর থেকে হাসপাতালে আসেননি তাঁদের কোনও পরিচিত বা আত্মীয়। এমনই তথ্য উঠে আসছে। এদিকে, ওই কিশোরের দেখভাল কে করবেন, তার ঠাঁই কোথায় হবে, তা নিয়ে উঠছে প্রশ্ন।
কিশোরের দায়িত্ব কোনও পরিবারের কাউকে দেওয়া যায় কি না, তা নিয়ে চেষ্টাও করা হয়। তবে দায়িত্ব দূরঅস্ত, হাসপাতালে এসে কোনও পরিজনই কিশোরের স্থানান্তরের প্রক্রিয়াতেও অংশ নিতে চাননি। দীর্ঘ টানাপড়েনের পর শেষে সন্ধ্যায় দুজনকে বেসরকারি হাসপাতাল থেকে বের করা হয়। প্রশ্ন উঠছে ওই কিশোরের দায়িত্ব যদি কেউ নিতে না চান, তাহলে তাকে কোথায় রাখা যাবে? উঠে আসছে চাইল্ড ওয়েলফেয়ার কমিটি সিডব্লিউসির প্রসঙ্গ। সিডব্লিউসি-র কলকাতা জেলার চেয়ারপার্সন মহুয়া শূর জানিয়েছেন, ‘কিশোরের বাবা এবং কাকা জীবিত। যে হেতু কিশোরের অভিভাবকরা আছেন, তাই এখনই আমরা কিশোরকে হোমে পাঠাতে পারি না।' তিনি বলেন,'তবে নজর রাখছি, যদি কেউ কিশোরের দায়িত্ব নিতে রাজি না হন, তা হলে পরে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেব।’ এদিকে, গত কয়েক দিনের পর পর ঘটনার পর কার্যত বিধ্বস্ত রয়েছে ওই কিশোর। মানসিকভাবেও সে কার্যত বিধ্বস্ত পরিস্থিতিতে রয়েছে। এই অবস্থায় হাসপাতালের বিছানায় শুয়ে সে বারবার প্রশ্ন করছে, ‘ বাবা কোথায়?’, ‘কাকা কোথায়?’
প্রসঙ্গত, দে পরিবারের আর্থিক সংকট ঘিরে ঋণের বোঝার খবর সদ্য উঠে আসছে তদন্তে। তবে আপাত বিলাসী জীবনযাপনেই ওই কিশোর অভ্যস্ত বলে জানা যাচ্ছে। সেই অবস্থা থেকে সে বর্তমানে হাসপাতালের বিছানায় শুয়ে আপনজনের খোঁজ করছে। তার ঠাঁই কোথায় হবে, তা নিয়েও সওয়াল রয়েছে। তার যৌথ পরিবারের সদস্যদের মধ্যে ৩ জনের মৃত্যু হয়েছে। এই অবস্থায় এই কিশোরের দেখভালকে ঘিরে নানান প্রশ্ন উঠছে। তদন্তকারীরা জানতে পেরেছেন ব্যবসা বাঁচাতে ছ’টির বেশি সংস্থায় ঋণ ছিল দে পরিবারের। সেই ঋণের পরিমাণ ১৫ কোটির বেশি। ব্যবসায়িক অবস্থা ভালো করতেই সপরিবারে মৃত্যু পরিকল্পনা।