প্রয়াত ইস্টবেঙ্গল দলের প্রাক্তন ফুটবলার অলোক সাহা। একটা সময় লালহলুদ ডিফেন্সের মুল স্তম্ভ ছিলেন তিনি। ১৯৮৩ সাল থেকে ১৯৮৮ সাল পর্যন্ত টানা ছয় বছর লালহলুদের ডিফেন্সে ভরসা দিয়েছেন। প্রথম বছরেই ইস্টবেঙ্গল দলে যোগ দিয়ে ১৯৮৩ সালে ইস্টবেঙ্গলকে শিল্ড চ্যাম্পিয়ন হতে অনেক সাহায্য করেছিলেন এই ফুটবলার।
দীর্ঘদিন ছিলেন শয্যাশায়ী। শেষ কয়েকমাস ভুগছিলেন স্নায়ুর সমস্যায়। যার জেরে সেভাবে বিছানা থেকেও উঠতে পারছিলেন না। বুধবার ভোরে ৬৪বছর বয়সে তাঁর জীবনাবসান হল। রেখে গেলেন একমাত্র পুত্র এবং স্ত্রীকে। ইস্টবেঙ্গল ক্লাবের তরফে তাঁর বাড়িতে গিয়ে শ্রদ্ধা জানিয়ে আসা হয়, ক্লাবের পতাকাও অর্ধনমিত রাখা হয়।
আরও পড়ুন- এক বছরে টেস্টে ১৪৭৮ রান! যশস্বী টপকালে সানি-বীরুকে! শীর্ষে এখনও সচিন তেন্ডুলকর, কত রান?
পরের বছরে ১৯৮৪ সালে আইএফএ শিল্ড এবং সঞ্জয় গান্ধী গোল্ড কাপেও নজর কেড়েছিলেন এই ফুটবলার। কোকাকোলা কাপ যখন ১৯৮৫ সালে চ্যাম্পিয়ন হল ইস্টবেঙ্গল, সেবারও লালহলুদের ডিফেন্সের বড় ভরসাই ছিলেন এই খেলোয়াড়। সেবার কোকাকোলা কাপ জয়ের পাশাপাশি লিগ, দার্জিলিং গোল্ড কাপ এবং ফেডারেশন কাপও জিতেছিল ইস্টবেঙ্গল।
আরও পড়ুন-Video-ফের ল্যাবুশানের সঙ্গে বেল নিয়ে তুকতাক সিরাজের! কাজে এল! তবে এবার আউট
সেই সময় ছিল ইস্টবেঙ্গলের অন্যতম সেরা সময়। ১৯৮৬ ও ১৯৮৭ সালের ফুটবল মরসুমে ইস্টবেঙ্গল দল চ্যাম্পিয়ন হয়েছিল আইএফএ শিল্ড, নাগজি ট্রফি, স্টাফোর্ড টুর্নামেন্ট, কলকাতা লিগ এবং এয়ারলাইন্স গোল্ড কাপে। এর মধ্যে ১৯৮৭ সালে ইস্টবেঙ্গলের অধিনায়কত্ব করেছিলেন এই ডিফেন্ডার।
পরের বছর ১৯৮৮ সালে ইস্টবেঙ্গল চ্যাম্পিয়ন হয় কলকাতা লিগ এবং এয়ারলাইন্স গোল্ড কাপ। সেই দলেরও সদস্য ছিলেন তিনি। শুধু ইস্টবেঙ্গলের হয়ে খেলাই নয়, বাংলা দলের হয়েও সন্তোষ ট্রফিতে বহু ম্যাচে খেলেছেন এই ডিফেন্ডার। কর্মজীবন কাটিয়েছেন সিএএসসিতে।
রোহিতদের প্রস্তুতির রোজনামচা, পাল্লা ভারি কোন দলের, ক্রিকেট বিশ্বকাপের বিস্তারিত কভারেজ, সঙ্গে প্রতিটি ম্যাচের লাইভ স্কোরকার্ড । দুই প্রধানের টাটকা খবর, ছেত্রীরা কী করল, মেসি থেকে মোরিনহো, ফুটবলের সব আপডেট পড়ুন এখানে।